বৃহত্তম গুহা
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং ভয়ঙ্কর
গুহা হচ্ছে ভিয়েতনামের হ্যাংসন ডুং। এটি মূলত একাধিক গুহার
সমন্বয়ে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি একটি গুহা নেটওয়ার্ক। ভিয়েতনামের কোং বিন
প্রদেশের বো টাচ জেলায় এটি অবস্থিত। এটিকে আবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুহা নেটওয়ার্ক বলা হয়ে থাকে। অত্যন্ত প্রাচীন এই গুহাটি দীর্ঘদিন মানুষের কাছে অনাবিষ্কৃত ছিল। এটি আবিষ্কৃত হয় ১৯৯১ সালে। গুহাটি প্রথম আবিষ্কার করেন সেখানের স্থানীয় এক ব্যক্তি, যার নাম হো-খানহ।
এ গুহার সবচেয়ে বড় কক্ষটির
পরিমাপ ২০০ মিটার উচ্চতা এবং ১৫০ মিটার চওড়া, যা
মোট ৫.৬ কিলোমিটার। ভিয়েতনামের জাতীয় উদ্যান ফুং না কিং ব্যাংয়ের পাশেই হ্যাংসন ডুংয়ের অবস্থান। রহস্যময় গুহাটি প্রায় ১৫০টি গুহার সমন্বয়ে গঠিত। মজার ব্যাপার
হলো গবেষক দল গুহাটির আয়তন পরিমাপ করতে পারলেও এর শেষ খুঁজে বের করতে পারেননি।
আর এ গুহাটি বিপজ্জনক হওয়ার কারণ হলো, গবেষণা দল
গুহা আবিষ্কারের সময় সম্মুখীন হয় নানা বিপদ-আপদের। তারা গুহার মধ্যে পান বিষধর
সাপ, বড় মাকড়সা, অদ্ভুত সব প্রাণী ও অজানা-অচেনা বৃক্ষরাজি। তারা গুহার মধ্যে দেখতে পান
ছোট ছোট পানির ফোয়ারা। গুহার মধ্যে রয়েছে অনেক সুড়ঙ্গ পথ, যেসব পথ দিয়ে অতি সহজেই ভিয়েতনামের
এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে যাতায়াত করা যায়। গুহার মধ্যে পানির ফোয়ারা
ছাড়াও রয়েছে একাধিক জঙ্গল। দূর থেকে দেখতে হ্যাংসন ডুংকে দোতলা বাসের মতো মনে
হয়। যে
কারণে হ্যাংসন ডুং অতি আকর্ষণীয় গুহা হিসেবে বিবেচিত। প্রথম দিকে এ গুহা এলাকার
দিকে স্থানীয় লোকজন আসতে ভয় পেত, কারণ তারা এ গুহার তলদেশের নদী থেকে
উচ্চৈঃস্বরে শব্দ শুনতে পেত। গুহাটি আবিষ্কারের পর এখনো এটি
সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত নয়। কারণ এই গুহাটি অত্যন্ত ভয়ানক। এখানে
পৃথিবীর অন্যতম মারাত্দক সব জীবজন্তু ও পোকা-মাকড়ের আবাস।
No comments:
Post a Comment