How to download from youtube easily?

entertainments, Youtube Channels, software
Welcome to edu-knowledgeall.blogspot.com every Education knowledge for all

েচ গুেয়ভারা



চে গুয়েভারা
সারা বিশ্বে বিপ্লবের প্রতীক চে যেন বিপ্লবের অনির্বাণ শিখা। তার পুরো নাম এর্নেস্তা চে রাফায়েল গুয়েভারা দে লা সেরনা। বিশ্বজুড়ে তার পরিচিতি চে গুয়েভারা কিংবা শুধু চে নামেই। চে গুয়েভারা বিশ্বের মানুষের কাছে এক জীবন্ত বিপ্লবের নাম। ষাট ও সত্তর দশকে লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া তথা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে বিপ্লবের সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছেন। শুধু তখনকার বিশ্বই নয়, আজকের আধুনিক বিশ্বেও বৈশ্বিক আর আদর্শিক চেতনার প্রতিশব্দ চে। চে ছিলেন একজন আর্জেন্টিনীয় মার্ঙ্বাদী, বিপ্লবী, চিকিৎসক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ, সামরিক তত্ত্ববিদ এবং কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব। আর্নেস্তো গুয়েভারা লিঞ্চ ও ডে লা সেরনার গর্ভের সন্তান চে'র জন্ম ১৯২৮ সালের ১৪ জুন। ১৯৫২ সালে বুয়েন্স আয়ার্স থেকে ডাক্তার হয়েই পুরো লাতিন আমেরিকার সাধারণ মানুষের জীবন-সংগ্রাম উপলদ্ধির জন্য পরিভ্রমণ করেন। ১৯৫৪ সালে সিআইএ পরিচালিত এক সামরিক অভিযানে গুয়েতেমালার জাকাবো আরবেনজের নির্বাচিত সরকারের উৎখাত সময়ের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন চে। রাজনৈতিক কার্যকলাপের দায়ে মৃত্যু পরোয়ানা জারি। গুয়েতেমালা ত্যাগ করে বাধ্য হয়ে মেক্সিকোতে আশ্রয় গ্রহণ করেন চে। কিউবার স্বৈরতন্ত্রী সরকার ফুলজেনসিও বাতিস্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যে নির্বাসিত কিউবার বিপ্লবীরা সেই সময়ে মেক্সিকোতে। আরেক বিপ্লবী কাস্ত্রোর সানি্নধ্য এবং প্রচেষ্টায় নতুন ইতিহাস লিখতে সমর্থ হন বিপ্লবী গেরিলা চে।
চে কেবল একজন ঐতিহাসিক বিপ্লবীই নন, এখন তিনি সবার আদর্শের প্রতীক। কোথায় নেই চে? উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম- সর্বত্রই চে'র জয়জয়কার। তুমুল জনপ্রিয়তা এ বিপ্লবীর। ১৯৬৭ সালের ৮ অক্টোবর মার্কিন সমর্থনপুষ্ট বলিভীয় সেনাবাহিনীর হাতে আহত অবস্থায় বন্দী হন তিনি। পরদিন ৯ অক্টোবর বলিভিয়ার সেনাবাহিনীর এক মদ্যপ সৈনিক তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মৃত্যুর আগে চে বলেছিলেন, 'আমি জানি তোমরা আমাকে গুলি করে মারবে। আমি জীবিতাবস্থায় বেরুতে পারব না। ফিদেলকে বল, এই পরাজয় বিপ্লবের শেষ হয়ে যাওয়া নয়। বিপ্লবের বিজয় হবেই। সালেইদাকে (চের স্ত্রী) বল, ব্যাপারটি ভুলে যেতে। সুখী হতে বল। বাচ্চাদের লেখাপড়ায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে, আর সৈন্যদের বল যাতে আমার দিকে ঠিকভাবে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।' তার নতুন ভাবনাগুলোকে নিয়মিত তার দিনপঞ্জি 'দ্য মোটরসাইকেল ডায়েরিজ'-এ লিখে গেছেন। ডায়েরির এক জায়গায় লিখেছেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ আমাকে যুগপৎ বিস্মিত ও অস্থির করে তুলেছে। আমার চিন্তারও অধিক পরিমাণ বদলে দিয়েছে আমাকে।' কী অকুতোভয় অবিচল বিপ্লবী। সে দিন তার দৈহিক মৃত্যু হয়েছিল ঠিকই কিন্তু আসলে সেটা ছিল চে'র পুনরুত্থান। তিনি জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন, বিপ্লবীর মৃত্যু আছে, কিন্তু বিপ্লবের মৃত্যু নেই।

No comments:

Post a Comment